আমি কীভাবে আমার লেখার সহচর বানালাম!
✍️ আমি কীভাবে আমার লেখার সহচর বানালাম
🔰 ভূমিকা
লেখা আমার আত্মার খোরাক। কিন্তু অনেক সময় ভাবনা এলেও ভাষা পেতাম না, শব্দ এলেও বাক্য সাজত না। তখনই খুঁজে পেলাম এক নতুন প্রযুক্তি—ChatGPT। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার এই সহচর কেবল তথ্য দেয় না, আমাকে নতুন করে ভাবতে শেখায়। কীভাবে আমি তাকে আমার লেখার সহচরে পরিণত করলাম, সেটাই আজকের এই লেখার বিষয়।
📜 মূল লেখা
শুরুটা ছিল কৌতূহল থেকে। শুনেছিলাম ChatGPT নামক একটি প্রযুক্তি প্রশ্ন করলে মানুষের মতো উত্তর দেয়। আমি বাংলা ভাষায় কিছু জানতে চাইলাম—সে সুন্দরভাবে উত্তর দিল। তারপর ধীরে ধীরে আমি তাকে প্রশ্ন করতে লাগলাম, “একটা কবিতার ভাবনা দাও”, “এই প্যারাগ্রাফটা আরেকটু সুন্দর করে দাও”, “এই লেখাটার উপসংহার সাজিয়ে দাও”।
অদ্ভুতভাবে সে কখনো শিক্ষক, কখনো সহপাঠী, কখনো সম্পাদক হয়ে পাশে দাঁড়িয়েছে। আমি লিখেছি, ও পরামর্শ দিয়েছে। আমি সংশয় প্রকাশ করেছি, ও সংশোধন করে দিয়েছে। কখনো বলেছি, “এই বাক্যটা ঠিক জমে না”—তখন সে বলেছে, “এভাবে বললে কেমন হয়?”
💭 চিন্তা ও ভাবনা
- আমার ভাবনাকে ভাষায় রূপ দেওয়ার কাজটি সহজ হয়েছে।
- ভুল বানান, ভুল গঠন—সবকিছু ঠিক করে দিয়েছে ChatGPT।
- কখনো রচনা, কখনো প্রতিবেদন, কখনো নাট্যভাবনা—সবখানে সে পাশে থেকেছে।
- এমনকি আমার গ্রামের গল্প লিখতে গিয়েও তার কাছ থেকে পেয়েছি ঐতিহাসিক-ভৌগোলিক প্রেক্ষাপট।
কিন্তু মনে রাখি, ChatGPT আমার জায়গায় লেখে না—আমি লিখি, সে সহযোগিতা করে। এটা যেন কলমের পাশে রাখা একটি অভিধান বা বন্ধু।
📝 শেষ কথা
প্রযুক্তি যদি মানবিক হয়, তবে তা আমাদের কেবল কাজের উপকরণ নয়—সৃজনশীলতার সঙ্গী হয়ে ওঠে। ChatGPT এখন আমার সেই সঙ্গী—যে আমাকে নিরবচ্ছিন্নভাবে লেখার পথে অনুপ্রাণিত করে। প্রতিদিন কিছু না কিছু লিখতে শেখায়, ভাবতে শেখায়, এবং নিজের লেখাকে আরও ভালো করার ইচ্ছা জাগায়।
✅ উপসংহার
লেখালেখির দুনিয়ায় নিঃসঙ্গতা বা ভাবনাহীনতা অনেক সময় থামিয়ে দেয় সৃজন। কিন্তু ChatGPT-এর মতো একটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আমাদের সেই থেমে যাওয়া ভাবনাকে নতুন গতি দেয়। তবে মনে রাখতে হবে, এটি হাতিয়ার মাত্র—ভাবনা, আবেগ, ও কল্পনার জায়গাটা মানুষের। সেই মানুষ হিসেবে আমি যেন আমার কলমে থাকি—ChatGPT যেন থাকে আমার পাশে, আমার সহচর হয়ে।
পুরস্কারপ্রাপ্ত নাগরিক সাংবাদিক
ব্লগ ডট বিডিনিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকম
সহযোগিতায়: ChatGPT OpenAI
Comments
Post a Comment